৩১ জানুয়ারী ২০১৮
তারিখ একধারে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, সুপার মুন
ও নীল চন্দ্র দেখা যাবে । পূর্ণগ্রাস
চন্দ্রগ্রহণ
যুক্তরাষ্ট্রের বড় অংশ উত্তর পূর্ব ইউরোপ,
রাশিয়া, এশিয়া, ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর ও অস্ট্রেলিয়া হতে দেখা যাবে ।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী
৩১শে জানুয়ারী ২০১৮ বুধবার গ্রহণ শুরু হবে সন্ধ্যা ৫ মি. ৩৬ সে. । পূর্ণ গ্রাস সংগঠিত হবে ৭ মি. ২৯ সে.। পূর্ণ গ্রহণের স্থায়িত্ব কাল ১মি. ৩২ সে.। গ্রহণ ছেড়ে যাবে ১০ মি. ০৮ সে. ।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী
৩১শে জানুয়ারী ২০১৮ বুধবার গ্রহণ শুরু হবে সন্ধ্যা ৫ মি. ৩৬ সে. । পূর্ণ গ্রাস সংগঠিত হবে ৭ মি. ২৯ সে.। পূর্ণ গ্রহণের স্থায়িত্ব কাল ১মি. ৩২ সে.। গ্রহণ ছেড়ে যাবে ১০ মি. ০৮ সে. ।
পৃথিবী যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য চাঁদ সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবী চাঁদ সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করে। পৃথিবীপৃষ্ঠের কোন দর্শকের কাছে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। এই ঘটনাকে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।
চন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্যের আলো পৃথিবীতে বাধা পায় ও চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে যায়। পৃথিবী
চাঁদের চেয়ে বড় হওয়ায়, পৃথিবীর ছায়া চন্দ্রপৃষ্ঠকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে। এই কারণে
চন্দ্রগ্রহণ পৃথিবীর কোনো কোনো অংশে পূর্ণগ্রাস হিসাবে দেখা যায়।
এই পূর্ণগ্রাস বা আংশিকগ্রাস পৃথিবীর সকল স্থান থেকে একই রকম দেখা যায়। কিন্তু পৃথিবীর সকল স্থানে কোনো না কোনো সময় পূর্ণ বা আংশিক গ্রহণ দেখা যায়।
এ নিয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে নানা রকম গল্প সৃষ্টি হয়েছে।
কালক্রমে তা ধর্মতত্ত্বে পৌরাণিক কাহিনি হিসেবে যুক্ত হয়েছে। যেমন, হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে― সমুদ্রমন্থন শেষে উত্থিত অমৃত
অসুরদের বঞ্চিত করে দেবতারা পান করেছিল। রাহু (দানব বিশেষ। দানব
বিপ্রচিত্তির ঔরসে ও সিংহিকার গর্ভে এঁর জন্ম হয়) কৌশলে এবং গোপনে অমৃতপান করতে থাকলে, চন্দ্র ও সূর্য
এঁকে চিনতে পেরে অন্যান্য দেবতাদের জানিয়ে দেয়। এই সময় বিষ্ণু এঁর দুই বাহু মাথা কেটে দেন। কিছুটা অমৃত পান করায় এই দানব
ছিন্নমস্তক হয়ে অমরত্ব লাভ করেন। এঁর মস্তকভাগ
রাহু ও দেহভাগ কেতু নামে পরিচিত।
এরপর থেকে সুযোগ পেলেই রাহু
চন্দ্র সূর্যকে গ্রাস করার জন্য অগ্রসর হয়। কিছুটা গ্রাস করতে সক্ষম হলেও তার
কর্তিত দেহ থেকে চাঁদ-সূর্য বেরিয়ে আসে। রাহুর এই গ্রাসকালীন সময়ে চন্দ্র বা সূর্য
গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এসব কথা বিজ্ঞানসম্মত নয় ।
আরো তথ্য : চন্দ্রগ্রহণ পূর্ণিমার সময় এবং সূর্যগ্রহণ
অমাব্যত্সার সময় হয় ।
চন্দ্রগ্রহণ
ও সূর্যগ্রহণের মাঝে পার্থক্য আছে ।
চন্দ্রগ্রহণের
সময় সূর্য ও চন্দ্রের মাঝে পৃথিবী চলে আসে । ফলে পৃথিবীর ছায়া চন্দ্রে পড়ে এবং চন্দ্র
দেখা যায় না ।পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ হয়।
অপরদিকে সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে চাঁদ চলে আসে । ফলে সূর্য ঢাকা পড়ে । অমাবস্যায় সূর্যগ্রহণ হয় ।
একই
ইংরেজী মাসে দুই বার পূর্ণিমা হলো দ্বিতীয় পূর্ণিমাকে ( নীল চন্দ্র )
Blue Moon বলা হয় । ইংরেজীতে পূর্ণগ্রাস চন্দ্র গ্রহণকে Blood
moon (রক্ত চন্দ্র)ও বলা হয় ।