Monday 21 December 2020

আজ ২১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ সোমবার সন্ধ্যায় খালি চোখে দেখা যাবে বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের সংযোগ

আজ ২১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ সোমবার সন্ধ্যায় খালি চোখে দেখা যাবে বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের সংযোগ

আজ ২১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ সোমবার সন্ধ্যায় খালি চোখে দেখা যাবে বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের সংযোগ ।

৮০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কাছাকাছি আসছে বৃহস্পৃতি ও শনি । 


বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের সংযোগের বিরল দৃশ্য খালি চোখেই দেখা যাবে আজ  সন্ধ্যায় । সন্ধ্যায় আকাশে বৃহস্পতি অতিক্রম করবে শনিগ্রহকে। এসময় বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের মাত্র ০.১ ডিগ্রি দূরত্ব থাকবে (তুলনায় বলা যায় চাঁদের ব্যাস ০.৫ ডিগ্রি)।

বৃহস্পতি প্রতি ১২ বছরের সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসে, শনি গ্রহ ৩০ বছর। যদিও প্রতি ২০ বছর অন্তর এরকম সংযোগ হয়, তবুও সবসময় তা রাতের আকাশে হয় না এবং এত কাছাকাছি আসে না। সেজন্য এই সংযোগ বিশেষ।  

সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে উজ্জ্বল বৃহস্পতি সহজেই দৃষ্টিগোচর হবে, এর জন্য দূরবীন লাগবে না। সেটির একটু ওপরেই অপেক্ষাকৃতভাবে কম অনুজ্জ্বল শনিগ্রহ দেখবেন। সূর্যাস্তের এক ঘণ্টার মধ্যেই এই উজ্জ্বল জোড়াগ্রহ দিগন্তে নেমে যাবে, তাই সূর্যাস্তের পরপরই এটি দেখার উত্তম সময়।


গত ৮০০ বছরের মধ্যে এই দুই গ্রহ এতটা কাছাকাছি অবস্থানে আর দেখা যায়নি। ১৬ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যাবে ।

 

২১ ডিসেম্বর দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখলে গ্রহ দুটির উপগ্রহগুলোও দেখা যেতে পারে। তবে আপাতদৃষ্টিতে দুই গ্রহকে যতই কাছাকাছি দেখা যাক না কেন, বাস্তবে তাদের মধ্যে কয়েক শ হাজার লাখ মাইলের দূরত্ব বজায় থাকবে। গ্রহ দুটি এতটাই উজ্জ্বল থাকবে যে, গোধূলিতেও আকাশে তাদের দেখা মিলবে। তবে এবার এই যুগলবন্দী দেখতে না পেলে গ্রহ দুটিকে ফের কাছাকাছি অবস্থানে দেখতে ২০৮০ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

 

আশা করি সবাই এই মহাজাগতিক দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করবেন । 


Saturday 4 July 2020

আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হবে আগামীকাল ৫ জুলাই ২০২০ তারিখ রবিবার।

আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হবে আগামীকাল ৫ জুলাই ২০২০ তারিখ রবিবার।


আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হবে আগামীকাল জুলাই ২০২০ তারিখ রবিবার।

উপচ্ছায়া গ্রহণ শুরু হবে জুলাই (বিএসটি) ৯টা মিনিট ৩০ সেকেন্ডে, সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে ১০টা ৩০ মিনিটে এবং শেষ হবে ১১টা ৫৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে উপচ্ছায়া গ্রহণ শুরু হবে, সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে প্যারাগুয়ের আসুনশিওন শহরে এবং গ্রহণ শেষে হবে পেরুর লিমা শহরে। তবে বাংলাদেশ থেকে এই চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে না।

চাঁদ এবং পৃথিবী নিজ নিজ কক্ষপথে চলার সময় সূর্য, পৃথিবী চাঁদ যখন একই সরলরেখায় আসে এবং সূর্য চাঁদের মাঝখানে পৃথিবীর অবস্থান হয় তখন পৃথিবীর ছায়া গিয়ে পড়ে চাঁদের ওপর। পৃথিবী থেকে দেখলে কিছু সময়ের জন্য আংশিক অদৃশ্য হয়ে যায় চাঁদ। এই ঘটনাকেই চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।
প্রসঙ্গত, ১০ জানুয়ারি ছিল বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ। জুন শুক্রবার হবে ২০২০- দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ। বছরের তৃতীয় চন্দ্রগ্রহণ হবে জুলাই। বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ হবে ৩০ নভেম্বর।

আরো তথ্য:
জেনে রাখা ভাল :
চন্দ্রগ্রহণ সূর্যগ্রহণ এর মধ্যে পার্থক্য:
১. পৃথিবী চন্দ্রের মাঝে যখন সূর্য আসে তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়।
একইভাবে পৃথিবী সূর্যের মাঝে চন্দ্র আসলে সূর্যগ্রহণ হয়।
২. যখন সূর্যগ্রহণ হয় তখন যেটি ঘটে তা হলো, সূর্যকে যা আড়াল করে দেয় সেটি হল চাঁদ। চন্দ্রগ্রহণ হল ঠিক এর বিপরীত অবস্থা।
৩. সূর্যগ্রহণ হয় অমাবত্সায় বা চান্দ্রমাসের শেষ দিন । চন্দ্রগ্রহণ হয় পূর্ণিমায় বা চান্দ্রমাসের ১৪ বা ১৫ তারিখে ।
৪. সূর্যগ্রহণ দিনের বেলায় টেলিস্কোপে সানফিল্টার লাগিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হয় ।
অপর দিকে চন্দ্রগ্রহণ রাতের বেলা খালি চোখে দেখা যায় ।

কিভাবে চন্দ্রগ্রহণ দেখবেন?
সূর্যগ্রহণের মতো চন্দ্রগ্রহণ দেখতে কোনও আলাদা সতর্কতার প্রয়োজন নেই। খালি চোখেই এই গ্রহণ দেখা যেতে পারে। তাতে চোখের ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই। তবে টেলিস্কোপের সাহায্যে এই গ্রহণ দেখলে নিঃসন্দেহে গ্রহণের সৌন্দর্য আরও তীব্র ভাবে ধরা পড়বে।


Saturday 20 June 2020

২১ জুন ২০২০ তারিখ সূর্যগ্রহণ এবং উত্তর অয়ণান্ত দিবস

২১ জুন ২০২০ তারিখ সূর্যগ্রহণ এবং উত্তর অয়ণান্ত দিবস


আলহামদুলিল্লাহ । আগামী কাল ২১ জুন ২০২০ তারিখ সূর্যগ্রহণ এবং উত্তর অয়ণান্ত দিবস  অনুষ্ঠিত হবে । এটি  জ্যোতির্বিজ্ঞানে ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা বলে বিবেচিত হলেও  ইসলাম ধর্মে অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে বিবেচিত ।
২১ জুন, উত্তর গোলার্ধের সবচেয়ে বড় দিন। বছরের দীর্ঘতম দিনে বাংলাদেশের আকাশে সূর্য থাকবে মোট ১৩ ঘন্টা ৩৬ মিনিট এক সেকেন্ড।


আবার ২১ জুন ২০২০ বাংলাদেশ সময় বেলা ১১:২৩ মিনিট থেকে আংশিক সূর্যগ্রহন শুরু হবে। দুপুর :১২ মিনিটে গ্রহণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে, আর শেষ হবে দুপুর ০২:৫২ মিনিটে।
সূর্যগ্রহন উপভোগ করতে চাইলে ওই দিন নির্দেশিত সময়ে ভালো মানের সানগ্লাস বা সান ফিল্টার অথবা সোলারস্কোপ  ব্যবহার করে গ্রহণ দেখতে হবে। খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা চোখের জন্য ক্ষতিকর


জেনে রাখা ভাল :


২১ জুন হলো  হলো  উত্তরায়ন বা উত্তর অয়নান্ত  বা  সামার সলস্টিস ।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে এদিন গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এটি জ্যোতির্বিদ্যার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।

দিবা-রাত্রির দৈর্ঘ্য হ্রাস-বৃদ্ধির উপর নির্ভর করে চারটি দিন গুরুত্বপূর্ণ । এসব দিন নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :
হিসাবের সুবিধার্থে সূর্যকে পরিক্রমণকালে কক্ষপথে পৃথিবীর চারটি অবস্থান নির্দিষ্ট করা হয়েছে। যথা : ২১শে জুন, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২২শে ডিসেম্বর ২১শে মার্চ।



২১শে জুন : সূর্যকে পরিক্রমণকালে ২১শে জুন পৃথিবী এমন অবস্থানে পৌঁছে, যেখানে উত্তর মেরু সূর্যের দিকে ২৩.° ঝুঁকে থাকে এবং দক্ষিণ মেরু সূর্য থেকে দূরে সরে পড়ে। এদিন ২৩.° উত্তর অক্ষাংশে অর্থাৎ কর্কটক্রান্তির উপর সূর্যকিরণ ৯০° কোণে বা লম্বভাবে পড়ে। ফলে এইদিন উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত সবচেয়ে ছোট হয়। আর দক্ষিণ গোলার্ধে রাত সবচেয়ে বড় এবং দিন সবচেয়ে ছোট হয়।
২৩শে সেপ্টেম্বর : ২১শে জুনের পর উত্তর মেরু সূর্য থেকে দূরে সরতে থাকে এবং দক্ষিণ মেরু নিকটে আসতে থাকে। ফলে উত্তর গোলার্ধে ক্রমশঃ দিন ছোট রাত বড় তে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দিন বড় রাত ছোট থাকে। এভাবে ২৩শে সেপ্টেম্বর পৃথিবী এমন এক অবস্থানে আসে, যখন উভয় মেরু সূর্য থেকে সমান দূরে থাকে। এইদিন সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখায় ৯০° কোণে এবং মেরুদ্বয়ে ° কোণে আপতিত হয়। ফলে এই তারিখে পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান হয়।
২২শে ডিসেম্বর : ২৩শে সেপ্টেম্বরের পর উত্তর মেরু সূর্য থেকে আরও দূরে সরতে থাকে এবং দক্ষিণ মেরু অপেক্ষাকৃত সূর্যের কাছে সরে আসে। ফলে উত্তর গোলার্ধে দিন ছোট তে থাকে এবং রাত বড় তে থাকে। এভাবে ২২শে ডিসেম্বর এমন অবস্থানে পৌঁছায় যখন দক্ষিণ মেরু সূর্যের দিকে সর্বাধিক (২৩.° কোণে) হেলে থাকে। এইদিন সূর্যকিরণ ২৩.° দক্ষিণ অক্ষাংশে লম্বভাবে বা ৯০° কোণে আপতিত হয়। ফলে এইদিন দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয় এবং রাত সবচেয়ে ছোট হয়। একই সাথে উত্তর গোলার্ধে দিন ছোট রাত বড় হয়।
২১শে মার্চ : পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে আবর্তন কালে ২২শে ডিসেম্বরের পর উত্তর মেরু ক্রমশঃ সূর্যের নিকটে আসে এবং দক্ষিণ মেরু সরে যেতে থাকে। এতে উত্তর গোলার্ধে দিন বড় রাত ছোট হতে থাকে। অবশেষে ২১শে মার্চ পৃথিবী এমন অবস্থানে আসে যখন উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরু সূর্য থেকে সমান দূরত্বে থাকে। ফলে এইদিনও ২৩শে সেপ্টেম্বরের মত পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান হয়।

উপসংহার : জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাথে সম্পৃত্ত অনেক বিষয়ই ইসলাম ধর্মের সাথে সম্পৃত্ত নেই । যেমন : অমুক তারিখের পর বা সূর্যগ্রহণ হলে রোগ শোক বিলীন হওয়ার বিশ্বাস ইসলাম ধর্মে অবিশ্বাস বা কুফরী কাজ বা শিরক বা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সাথে অংশীদার স্হাপন করার গুনাহ তুল্য কাজ । সুতরাং জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাথে সম্পৃত্ত বিষয়ের সাথে ইসলাম ধর্মের সম্পৃত্ততা নেই ।
আর কোন জ্যোতির্বিজ্ঞানী বা বিজ্ঞানীও বলতে পারেন না, সূর্যগ্রহণ বা অমুক ঘটনার পর রোগ-ব্যাধি চলে যাবে । কারণ এধরনের কথা চরমবিজ্ঞানবিরোধী কথা ।