Monday 14 March 2016

পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সৌন্দর্য দেখল ইন্দোনেশিয়াবাসী

পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সৌন্দর্য দেখল ইন্দোনেশিয়াবাসী


ইন্দোনেশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় বুধবার পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়েছে সময় মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকে ইবাদত-বন্দেগি করেন বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী তাদের আচার-অনুষ্ঠান পালন করে

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ৯ মার্চ ২০১৬ তারিখ স্থানীয় সময় ভোর ছয়টা ১৯ মিনিট (গ্রিনিচ সময় ২৩ টা ১৯ মিনিট) থেকে পৃথিবী সূর্যের মধ্যে যেতে শুরু করে চাঁদ এর প্রায় ঘণ্টাখানেক পর চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে, তখন দেশটির পশ্চিম অংশে পূর্ণ সূর্যগ্রহণের দেখা মেলে মুহূর্তেই চারপাশে নেমে এল রাতের অন্ধকার  

বাংলাদেশ, নেপাল, থাইল্যান্ড, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশের বাসিন্দারাও আজ আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখেছেন  

ধরণীর বুকে পূর্ণ আংশিক সূর্যগ্রহণের এমন সৌন্দর্য দেখার জন্য বিভিন্ন দেশের উৎসাহী মানুষ রাস্তায় নেমে আসে কেউ কেউ চলে যায় ছাদসহ উঁচু স্থানে চোখে বিশেষ ধরনের চশমা পরে তারা সূর্যগ্রহণ দেখে পূর্ণ সূর্যগ্রহণকে কেন্দ্র করে  


ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন দ্বীপে পর্যটকদের ঢল নামে উপলক্ষে তাই ছিল বিশেষ আয়োজন ছিল মজার দৌড় ড্রাগন নৌকার প্রতিযোগিতাসহ নানা উৎসব এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইন্দোনেশিয়ার বেলিতুং দ্বীপে আসেন ৫২ বছর বয়সী পর্যটক ডেনিয়েল অরেঞ্জ তিনি বললেন, ‘এটা অসাধারণ সব মিলিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখার ব্যাপারটা ছিল সুন্দর এখানে অনেকে জড়ো হয়েছিলেন যখন পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হলো, তখন সবাই উল্লাস করে উঠল


Saturday 5 March 2016

বিশ্বব্যপী পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে ৯ মার্চ ২০১৬ তারিখ

বিশ্বব্যপী পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে ৯ মার্চ ২০১৬ তারিখ


আগামী ৯ মার্চ সারাদেশ থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। সূর্য উদয়ের সাথে সাথেই বাংলাদেশ থেকে এ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ঢাকার স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ১২ মিনিটে সূর্য উদয়ের পর থেকে শুরু হয়ে সকাল ৬টা ৩৮মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ পর্যায় ও ৭টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ডে গ্রহণ শেষ হবে। বাংলাদেশ ছাড়াও আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে চীন, জাপান, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশ ও হাওয়াই, আলাস্কা থেকে। আর ইন্দোনেশিয়ার কিছু দ্বীপ থেকে ঐদিন পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। বাংলাদেশ থেকে পরবর্তী আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর। আর ২১১৪ সালের ৩ জুনের আগে বাংলাদেশ থেকে কোন পূর্ণ সূর্য গ্রহণ দৃশ্যমান হবে না।



সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে ঘুরছে, একই সাথে চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। সূর্য ও পৃথিবীকে নিয়ে একটি তল কল্পনা করলে চাঁদ সাধারণতঃ সেই তলে পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে না। কিন্তু কোনো কোন সময়ে, অমাবস্যার সময়, পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চাঁদ সেই তলে একই সরল রেখায় চলে আসে। সূর্য চাঁদের আড়ালে চলে যায় এবং চাঁদের সঙ্কীর্ণ ছায়া তখন পৃথিবীর বুকে ভ্রমণ করে। সেই ছায়া যেসব জায়গার ওপর দিয়ে যায় সেখান থেকে মনে হয় সূর্য ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে। ছায়ার কেন্দ্রে যেসব অঞ্চল পড়বে সেখান থেকে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। আর কেন্দ্রের বাইরে দেখা যাবে আংশিক সূর্যগ্রহণ।




সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এক্সরে ফিল্ম, নেগেটিভ, ভিডিও আ অডিও ক্যাসেটের ফিতা, সানগ্লাস, ঘোলা বা রঙিন কাচে এসব ক্ষতিকর অতিবেগুনী ও অবলোহিত রশ্মি আটকায়না। তাই কোনক্রমেই এগুলো দিয়ে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা যাবেনা। চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগ আরো জানিয়েছে, ১৩ ও ১৪ গ্রেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস আ আর্ক গ্লাস দিয়ে নিরাপদে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা যায়। ১১ গ্রেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস দিয়েও গ্রহণ দেখা যাবে, তবে সেক্ষেত্রে দুটি গ্লাস একত্রে জোড়া দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। তবে কোন ফিল্টার দিয়েই একনাগাড়ে বেশিক্ষণ তাকানো যাবে না। সোলার ফিল্টার ছাড়াও পিনহোল ক্যামেরা দিয়ে কোনো স্ক্রিনের ওপর সূর্যের প্রতিবিম্ব ফেলে গ্রহণ দেখা যেতে পারে।
নাসায় চাকরির সুযোগ, আবেদন করতে পারেন আপনিও

নাসায় চাকরির সুযোগ, আবেদন করতে পারেন আপনিও

দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আপনিও হতে পারেন নাসার একজন গর্বিত চাকরিজীবী।


‘স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতা কি?
 ‘স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’ নাসা আয়োজিত বিশ্বের সবথেকে বড় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা। এ বছর বাংলাদেশে ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রামসহ বিশ্বের ১৫০ টি শহরে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল মূল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা পাবেন নাসায় চাকরির সুযোগ।

অংশগ্রহণের জন্য যোগ্যতা
যেকেউ অংশ নিতে পারবেন নাসার এই প্রতিযোগিতায়। তবে আপনি যদি বিজয়ী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বিশেষ কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। দলীয় সমন্বয়, যোগাযোগ, ভাষা ও বাজেট সমন্বয়ে অধিক দক্ষ প্রার্থীরা এগিয়ে থাকবেন। বিমান চালনা বিদ্যা, মহাকাশ স্টেশন, সৌর প্রক্রিয়া, তথ্যপ্রযুক্তি, পৃথিবী ও মঙ্গলগ্রহ এ ছয়টি নিয়ে হবে মূল প্রতিযোগিতা। তাই এ ব্যাপারগুলোতে গভীর জ্ঞান থাকাটাও বাঞ্ছনীয়।

নিবন্ধন করবেন যেভাবে
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) স্টুডেন্টস ফোরামের ওয়েবসাইটে গিয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করা যাবে। ‘স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’ সম্পর্কে তথ্য আদান প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলায় ১০০ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেমিনার করবে বেসিস। এ ছাড়া প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত কোনো তথ্যের জন্য ইমেইল করা যাবে bsf@basis.org.bd এবং project3@basis.org.bd ঠিকানায়।

তো আর দেরি কেন? আজই নিবন্ধন করে নাসায় চাকরির জন্য আপনার প্রথম পদক্ষেপটি নিয়ে ফেলুন।

উৎস : এনটিভি