বিজ্ঞানী
বা জ্যোতির্বিজ্ঞানী হওয়ার জন্য বয়স কোন প্রভাব বিস্তার করে না । বিজ্ঞানী
হওয়ার জন্য দরকার পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি ।
এই খবরটি এই কথাকেই প্রমাণ করে । আসা করি সবাই মনযোগ দিয়ে খবরটি পড়বেন ও
চেষ্টা করবেন বাড়ির ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার ।
সুপারনোভা আবিষ্কার করেছে কানাডায় ক্যাথরিন নামের ১০ বছরের ছোট্ট মেয়ে।
সুপারনোভা হচ্ছে এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ। এ বিস্ফোরণের ফলে একটি নক্ষত্র ধ্বংস হয়ে যায়। এতে ব্ল্যাক হোল তৈরি হতে পারে, আবার নিউট্রন তারাও তৈরি হতে পারে। যাই হোক না কেন, এটি আসলে মহাকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এটি যে
আবিস্কার করেছে তার পুরো নাম : ক্যাথরিন অরোরা গ্রে। তার বাবা পল গ্রে একজন মহাকাশ বিজ্ঞানী। বাবার কাজ দেখে দেখেই এ কাজ সম্পর্কে একটা আগ্রহ ক্যাথরিনের তৈরি হয়ে গিয়েছিল। পল তার পেশার কারণেই এর আগে তিনটি সুপারনোভা আবিষ্কার করেছিলেন।
কিন্তু তার মেয়ে ক্যাথরিন তাকে পেছনে ফেলে দিয়েছে এ সুপারনোভা আবিষ্কারের ফলে। পল তার সহকর্মীকে নিয়ে ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করছিলেন এবং সেই সঙ্গে তুলে রাখছিলেন একের পর এক ছবি। এ টেলিস্কোপে তোলা ছবিগুলোর প্রতি ক্যাথরিনের আগ্রহটা ছিল অনেক বেশি। কাজেই যখন পল এবং তার সহকর্মী ডেভিড কাজের জন্য বাইরে বের হয়েছেন এ সময় ক্যাথরিন তার আগ্রহ থেকেই দেখতে শুরু করে একের পর এক তোলা টেলিস্কোপের ছবিগুলো।
হঠাত্ পরপর দুটো ছবিতে খটকা লাগে ক্যাথরিনের। কারণ দুটি ছবি একই আকাশের দুটি ভিন্ন সময়ে তোলা। কিন্তু প্রথম ছবিতে একটি আলোর বিন্দু দেখা যাচ্ছে, যা পরের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে না। মহাকাশ বিজ্ঞানী বাবার কাছ থেকে তো ছোটবেলা থেকেই এসব খুঁটিনাটি বিষয়গুলোর গল্প ক্যাথরিন শুনেছে। কাজেই তার বুঝতে মোটেও সমস্যা হলো না যে, এটি একটি সুপারনোভা। তারপর আর কি, বাবা বাড়িতে ফেরামাত্র চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ক্যাথরিন জানিয়ে দিল তার আবিষ্কারের কথা। আর পলও মিলিয়ে দেখলেন যে সত্যিই তার মেয়ে ক্যাথরিন আবিষ্কার করে ফেলেছে একটি নতুন সুপারনোভা।
এরপর আরও সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সব বিজ্ঞানীই একমত হলেন, আসলেই ক্যাথরিন নতুন একটি সুপারনোভা আবিষ্কার করে ফেলেছে। আর এর ফলে ক্যাথরিন বনে গেল পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদে সুপারনোভা আবিষ্কারক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী ।
পরে আরও হিসাব করে দেখা গেল, সুপারনোভাটি ক্যাথরিন আবিষ্কার করেছে তার আকার আমাদের সূর্যের সমান। আর পৃথিবী থেকে এর দূরত্বটাও কম নয়। মাত্র ২৪০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে আছে এ সুপারনোভাটি। মহাবিশ্বে সবসময় সুপারনোভা হতে থাকে। কিন্তু তারা খুব কমই আমাদের চোখে পড়ে। সে রকমই একটি বিরল ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ক্যাথরিন। আবিষ্কার করে ফেলেছে একটি সুপারনোভা। |
সূত্র :
খবরটি প্রকাশের সময় : মে ২০১১
খবর বিভাগঃ
জ্যোতির্বিজ্ঞানী
বাংলা নিবন্ধ
সুপার নোভা
0 comments: